দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- যুবভারতী চত্বরে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান ক্লাবের ফুটবল সমর্থকরা। একযোগে সকলের গলায় একই স্লোগান ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আর এর জেরেই সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ বাইপাস। এখনও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান চলে । সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি সময় পরে যান চলাচল শুরু করা হয়েছে।ডার্বি হওয়ার কথা ছিল দুই ঘণ্টার, প্রতিবাদ চলল চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। ডার্বির আগের দিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই দলের সমর্থকরাই স্লোগান লেখা শুরু করেছিলেন, ‘ঘটি বাঙাল এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’, ‘ঘটি-বাঙাল ভাই ভাই, আরজিকরের বিচার চাই।’ এদিন, যুবভারতী চত্বরে জড়ো হওয়া ইস্ট-মোহন জনতার নুখে এই স্লোগানগুলি তো ছিলই, তার সম্প্রসারও ঘটল। কেউ বললেন, ‘তুমি আমি একই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’, কেউ বললেন, চিংড়ি-ইলিশ এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর, কেউ ‘মাচা-ঘটি একই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’, কেউ বা ‘তুমিও তাই, আমিও তাই, আরজি করের বিচার চাই’, ‘ঘটি বাঙাল ভাই ভাই, আরজি করের বিচার চাই’, ‘দুই গ্যালারির একটা স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’, ‘ঘটি বাঙাল দিয়েছে ডাক, তিলোত্তমা বিচার পাক’। ডার্বি বাতিলের পর এদিন, কার্যত মাঠ দখলের ডাক দিয়েছিলেন দুই প্রধানের সমর্থকরা। কিন্তু, তাতেও বাধ সেধেছিল পুলিশ। এদিন বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুবভারতী চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। বিএনএসএস-এর ১৬৩ ধারা (আইপিসির ১৪৪ ধারা) অনুযায়ী, সেখানে জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু, তাতেও দমেননি ফুটবল প্রেমী, ন্যায়বিচার চাওয়া মানুষ। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ।উপস্থিত সমর্থকেরা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটের আলো জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছেন, স্টেডিয়ামের গেটের সামনেও জমা হয়েছেন প্রচুর প্রতিবাদী। সমর্থকদের প্রতিবাদে হাজির হয়েছেন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে, স্ত্রী কস্তুরী ছেত্রীকে নিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছেন তিনি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে সমর্থকদের এই প্রতিবাদ।