ইন্দ্রজিত মল্লিক, কলকাতা:- তৃণমূল ছাত্র পরিষদ না করলে হস্টেলে থাকা যাবে না। অর্থাৎ শাসক দলের সঙ্গে না থাকলে হস্টেলে ঘর পাওয়া যাবে না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে পদ থেকে সরানো হলো মেডিক্যাল কলেজের কিছু অধ্যাপকসহ এক আধিকারিককে। পড়ুয়া ডাক্তারদের অভিযোগ ছিল কিছু অধ্যাপক ও কলেজের ডিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করার জন্য জোর দিচ্ছিলো। তার জেরেই সরানো হলো গাইনেকোলজি বিভাগের তপন নস্কর, ফার্মকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুহিনা সরকার, এনাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ঈশিতা সেনগুপ্তা ও ডিন মানব নন্দীকে। তারা কেউ ছাত্রদের বিষয়ে থাকতে পারবেন না।
গত জুন মাসে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে। তাঁদের অভিযোগ ছিলো, কিছু সহকারী অধ্যাপক ও ডিন তাঁদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করার জন্যে চাপ দিচ্ছে। শাসকদলের ছাত্র সংগঠন না করায় হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই মর্মে তারা প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে। অভিযোগ ছিলো কিছু সহকারী অধ্যাপক ও ডিনের মদতে কিছু শাসকদল ঘনিষ্ঠ পড়ুয়া ভয় দেখাচ্ছে। তাঁদের নাম ধরেও অভিযোগ জানায়। তার ভিত্তিতেই স্বাস্থ্য দফতর এতদিন পর নড়েচরে বসলো।
কিন্তু যখন আরজি কর নিয়ে এত বিতর্কের দনা বেঁধেছে তখনই পুরনো অভিযোগের ভিত্তিতে সরানোতে সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিষয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক মৃদুল সরকার বলেন, “শাসকদলের সাথে থাকেই যে হোস্টেল পাওয়া যাবে তা নিয়ে আগেই আন্দোলন হয়েছিল। এরসাথে কলেজের অনেকেই জড়িত আছেন। এখন যে চলমান আন্দোলন চলছে সেই নিয়ে চাপে পড়ে তাদের সরাতে বাধ্য হয়েছে সরকার। ছাত্রদের এটাই জয়।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal