দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আর জি করের ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির ডাক্তাররাও। বিচার চেয়ে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছিলেন তাঁরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে সেই কর্মবিরতি ওঠে। তবে তারপরই ঘটে গেল আরও এক কাণ্ড। দিল্লির হাসপাতালে এক চিকিৎসককে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। রোগীর সঙ্গে থাকা অ্যাটেনডেন্টের বিরুদ্ধে উঠল রেসিডেন্ট ডাক্তার ও ড্রেসিং করতে আসা স্বাস্থ্যকর্মীকে আক্রমণ করার অভিযোগ। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ডক্টর হেজেওয়ার হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, এমার্জেন্সি ডিউটিতে থাকাকালীন এক রোগীর চিকিৎসা করতে গেলেই আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। আক্রান্ত চিকিৎসক বলেন, “রাত ১টা নাগাদ হাসপাতালে এক রোগী আসেন কপালে চোট নিয়ে। আমি ওঁকে ড্রেসিং রুমে নিয়ে যাই এবং ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে সেলাই করে দিই। পরে পাশেরই আরেক রোগীর চিকিৎসা করছিলাম, হঠাৎ এই রোগী উঠে আমায় ধাক্কা দেয় এবং গালিগালাজ করতে থাকে।”ওই চিকিৎসক আরও বলেন, “রোগীর ছেলে রুমের বাইরেই অপেক্ষা করছিল। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সে ঘরে ঢোকে। কোনও কথা না বলেই আগে আমায় চড় মারে। এরপর বাবা-ছেলে মিলে আমায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক কর্মী বাধা দিতে এলে, তাঁকেও মারতে উদ্যত হয়।”চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছেন যে রোগী মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাইট ডিউটিতে থাকাকালীন ওই চিকিৎসকের কাছে কপালে চোট নিয়ে একজন আসেন। তাঁর ক্ষত এতটাই গভীর ছিল যে সেলাই করতে হত। অভিযোগ, সেলাই করা শুরু করলেই রোগী চিকিৎসককে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। তারপরই গালিগালাজ করতে শুরু করেন। এই সময়ে চিকিৎসকের চেম্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন রোগীর ছেলে। হইচই শুনে তিনিও চেম্বারে ঢুকে পড়েন এবং সপাটে চিকিৎসককে চড় মারেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছেন, রোগী নিজে মত্ত অবস্থায় ছিলেন! যদিও তাঁর ছেলে কেন ওভাবে চেম্বারে ঢুকে তাঁকে মারধর করলেন তা তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।