দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অবশেষে ৮ বছর পর রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আইনি জট কাটল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ ১৪,০৫২ জনকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুপারিশপত্র তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছে এসএসসিকে । আদালত জানিয়েছে ৮ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে গোটা প্রক্রিয়া।উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের জন্য এসএসসি টেট বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে। সেই সময় ৭-৮ লাখ পরীক্ষার্থী বসেন টেটে। ২০১৫ সালেই ফল প্রকাশ হয় উচ্চ প্রাথমিক টেটের। এসএসসি উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ২৩.০৯.২০১৬ তারিখে। ২০১৬ সালে টেট ফলপ্রকাশ হয় আর নিয়োগের জন্য ভেরিফিকেশন হয় ২০১৯ সালে। এ নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগে মামলা হয় হাইকোর্টে। অভিযোগ ওঠে, ফর্ম ফিলাপ না করেই, টেটের নম্বর বাড়িয়ে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছে। নম্বর বিভাজন প্রকাশ না করেই মেধাতালিকা প্রকাশ করার অভিযোগের পাশাপাশি পরীক্ষায় না বসেই ভেরিফিকেশন এবং ইন্টারভিউ হয় ১১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে।এর পর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য গোটা মেধাতালিকা বাতিল করে নতুন মেধাতালিকা তৈরির নির্দেশ দেন এসএসসিকে । সেই নির্দেশ অনুসারে OMR মূল্যায়ণ করে ১,৪৬৩ জনকে মেধাতালিকা থেকে বাজ দেয় এসএসসি | কিন্তু বাদ পড়া প্রার্থীরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।এদিন আদালত জানিয়েছেন, বাদ পড়া ১,৪৬৩ জনকে মেধাতালিকায় সংযুক্ত করতে হবে। নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে। তার পর মোট ১৪,০৫২ জনের কাউন্সেলিং করতে হবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে। বলে রাখি, এদের অনেকেরই কাউন্সেলিং হয়ে গিয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত সুপারিশপত্র দিতে হবে। আদালত এদিন জানিয়েছে, যে ১৪৬৩ জনকে মেধাতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের ভেরিফিকেশন, ইন্টারভিউ সব হয়ে গিয়েছে। তার পর একতরফা ভাবে এই প্রার্থীদের বাদ দেওয়া যায় না। ফলে তাদের ফের মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সব ঠিক থাকলে পুজোর আগেই নিয়োগ পেতে পারেন ১৪,০৫২ জন শিক্ষক।