প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-‘ছাত্র সমাজের’ নামে নবান্ন অভিযান। তাতে বহিরাগতদের দাপট! এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আমি এদের শাস্তি চাই। আদালত কী করবে জানি না। কিন্তু মানুষ এদের বিচার করবে। মানুষের হাতে তুলে দিলেই বিচার হবে।” যদিও পরমুহূর্তেই তৃণমূল নেত্রীর সাবধান বাণী, “আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।” আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন থেকেই তিনি অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে এসেছিলেন তিনি। আজ তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন তিনি। রাজ্য সরকার ধর্ষণ বিরোধী বিল আনতে চলেছে সে কথা ঘোষণা করলেন।এ দিন মমতা বলেন, “আমি পরের সপ্তাহে অধ্যক্ষকে বলে অ্যাসেম্বলি কল করব। এবং আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পক্ষ থেকে আগামী দশ দিনের মধ্যে ‘ধর্ষকের ফাঁসির’, এই বিল পাশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব।” এরপর বোসকেও আক্রমণ করতে ভোলেননি তিনি। বলেন, “আমি জানি রাজার পাঠ। রাজাবাবু কিছু করবে না। না করলে মেয়েরা রাজভবনে গিয়ে বসে থাকবেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এই বিল সই করতে হবে। আর রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়ে দায়িত্ব সারলে হবে না।” শুধু তাই নয়, কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করলাম। আবেদন জানালাম। আপনি একটা ন্যায় সংহিতা তৈরি করেছেন তাতে দশ বছর-বারো বছর-ষোলো বছর-তারপর আরও একটা ধাপ। কেন? এই ন্যায় সংহিতা বানানোর কী দরকার ছিল? যাঁরা ধর্ষক তাদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি-ফাঁসি ফাঁসি আর কিছু না। এই একটা কাজে সব ঠান্ডা হবে।”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ‘আগামী শুক্রবার ফাঁসির দাবিতে কলেজের গেটে গেটে সভা। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা সবাই থাকবেই। শনিবার ব্লকে ব্লকে করা হবে মিছিল, ধরনা। ১ তারিখ অর্থাৎ পয়লা সেপ্টেম্বর মেয়েরা ব্লকে ব্লকে ধরনা করবেন। এই ধরনের নেতৃত্বের জন্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কেন সমাজ মাধ্যমে আরও বেশি সক্রিয় নন সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা।আরজি কর কাণ্ডে ফাঁসির দাবি তুলে মমতা বলেন, “আমরাও ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট চাই। এটা হলে এই ধরণের অপরাধ থেমে যাবে। আর যারা ধর্ষণে অভিযুক্ত তাদের ছাড়ার অনুরোধ করবেন না।”