দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে বামেদের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধর্মতলায় ধুন্ধুমার৷ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বাম কর্মী- সমর্থকরা৷ শ্যামবাজারের কাছে পুলিশ মিছিল আটকাতেই রাস্তার উপরে বসে পড়েন বাম নেতা কর্মীরা৷সিপিএম সহ বামফ্রন্টের প্রায় সমস্ত শরিক দলকেই এদিন মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায়। মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব সহ বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বও। একই সঙ্গে বামেদের ছাত্র-যুব ব্রিগেডকেও এদিন পথে নামতে দেখা যায়। প্রবীণদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছেন তাঁরা। যদিও মিছিলের শুরুতে মূলত মহিলাদেরই দেখা যায়। এ দিন রাজাবাজার থেকে আরজি কর হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিল করার ঘোষিত কর্মসূচি ছিল বামেদের৷ কিন্তু খান্না মোড়ের কাছে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বামেদের মিছিল৷ এরপর শ্যামবাজারের কাছে ফের মিছিল আটকায় পুলিশ৷ তখনই ছড়ায় উত্তেজনা৷ বন্ধ হয়ে যায় আরজি কর গামী রাস্তা৷মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই বিমান বসু বলেন, এ মিছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল। একই সুর রবীন দেবের গলাতেও। যদিও মিছিল খান্না মোড়ে মিছিল যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। ভেঙে যায় পুলিশের ব্যারিকেড। উঠতে থাকে স্লোগান। বাম সমর্থকদের অনড় দাবি, শ্যামবাজার তাঁরা যাবেনই। তাঁদের কোনওভাবেই আটকানো যাবে না। তরুণ সিপিএম নেতা প্রতীকুর রহমান বলেন, এই পুলিশ আরজি করে খুন, ধর্ষণ আটকাতে পারে না৷ ভাঙচুর আটকাতে পারে না৷ কিন্তু সাধারণ মানুষকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে মামলা দিতে পারে৷ মানুষ যেভাবে ক্ষেপে গিয়েছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যে এই ব্যারিকেড পুলিশেরই কাজে লাগবে৷