প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ৮ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আজ সন্দীপকে আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত শেষ পর্যন্ত ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় সন্দীপ ঘোষকে। সেইসময় মহিলা ও পুরুষ আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। সন্দীপ ঘোষের ফাঁসির দাবিতে সরব হন। সেইসময় আদালত চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কম ছিল। সন্দীপ ঘোষকে আদালতে ঢোকাতে বেগ পেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। পরিস্থিতি দেখে আরও ফোর্স আনা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালত চত্বর থেকে বের করা হয় সন্দীপকে। তখন বিক্ষোভকারীদের ভিড় সেখানে। সন্দীপকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই এক বিক্ষোভকারী চড় মারেন সন্দীপকে।অবশেষে সোমবার সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতর করেছে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরা। সিবিআই তাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিল। তবে বিচারক সকলকেই ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুরের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সন্দীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান ওঠে। শুধু তাই নয়, আদালত চত্বরেও তাঁকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দেওয়া হয়। গাড়ি ঘিরে হইচই শুরু হয়েছিল। তবে সিবিআই আধিকারিকরা নির্দিষ্ট সময়ই সন্দীপ ঘোষকে আদালতে হাজির করান। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন। সেই সূত্রে আরজি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে শুরু করে অধ্যক্ষের দফতরে পৌঁছেছিল সিবিআই। একাধিকবার হাসপাতালে এসে অনুসন্ধান চালায় তাঁরা। তারপরই সোমবার একসঙ্গে চারজন গ্রেফতার হন। ধৃতদের মধ্যে বিপ্লবের সংস্থা নানা হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত। আগেই তাঁর বাড়ি এবং সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। অন্যদিকে সুমন হাজরার ওষুধের দোকানেও তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। আর আফসর সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।