প্রসেনজিৎ ধর,হুগলি:-২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুর বদল উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের। নিজের মন্তব্যের জন্য চাইলেন ক্ষমা। ৬ মিনিটের ভিডিয়োয় বারবার কাঞ্চনকে বলতে শোনা গেল, “আমি লজ্জিত, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” রবিবার তিনি কোন্নগরে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করেন জুনিয়র ডাক্তারদের। বলেন, ‘মাসের শেষে সরকারি বেতন, পুজোর আগে বোনাস হাত পেতে নেবেন তো?’ জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে কটূক্তির জেরে সোমবার দিনভর সমালোচিত হন কাঞ্চন মল্লিক। বিরোধী দলের নেতারা তো বটেই, চলচ্চিত্র জগতে তাঁর সহকর্মী-বন্ধুরাই তীব্র নিন্দা করেন তাঁর। বয়কটের হুমকি দেন সহকর্মীরাই। তাঁর বিবেকবোধ নিয়ে প্রশ্ন করেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই। শেষপর্যন্ত তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তারপর সোমবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘গতকাল একটি ধরনামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য ভিডিওটি করিনি। অন্তর থেকে নিজের ভুল অনুভব করতে পেরেছি। বাড়িতে আমারও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পরে। এ ছাড়া, আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দিই।’ধৈর্যচ্যুতি তার কারণও তুলে ধরেন তিনি ভিডিও-তে। জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের সমান এক বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃতপ্রায়। ওই ব্যক্তি সেদিনও পরিষেবার কারণে কাঞ্চনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তারদের কর্মবিরতি থাকায় মহিলাকে বাঁচানো যায়নি। সেদিনই ভেঙে পড়েন কাঞ্চন। নাট্য পরিচালক সুজননীল মুখোপাধ্যায় তাঁর নাটকের আগামী শো থেকে ইতিমধ্যেই বাদ দিয়েছেন তাঁকে। বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী ‘ত্যাগ’ দিয়েছেন। বাকিরাও তাঁর অজ্ঞানতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই চাপ সইতে না পেরেই কি কাঞ্চনের গলায় এত সহানুভূতির সুর?