প্রসেনজিৎ ধর :-পুলিশকে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন। গ্রেফতার হুগলির শ্রীরামপুরের বিজেপির জেলা সম্পাদক পম্পা অধিকারী। বুধবার ভোর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চুঁচুড়া মহিলা থানা। ধৃত বিজেপি নেত্রী কে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করল চুঁচুড়া থানার পুলিশ।গত ২ সেপ্টেম্বর জেলায় জেলায় জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। হুগলিতে জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করতে হুগলি এবং শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব যৌথভাবে পথে নেমেছিলেন। দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত পৌঁছন। সেখানেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয় বলে অভিযোগ। এর পর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের।ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকানো হয়েছিল। অভিযোগ, ওই বিক্ষোভের সময়েই পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে মারেন পম্পা। তিনি বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক।কিছুক্ষণ হাতে জুতো নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে দেখা যায়। তারপর হাতে থাকা সেই জুতো তিনি পুলিশকে লক্ষ করে পুলিশের ভিড়ে ছুড়ে মারেন। পম্পা অধিকারী বর্তমানে বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পদে রয়েছেন। রিষড়া তিন নম্বর জল ট্যাঙ্ক এলাকায় তাঁর বাড়ি। এদিন তাঁর স্বামী বলাই অধিকারী জানিয়েছেন, ভোরে পুলিশের তিনটে গাড়িতে প্রচুর পুলিশ গিয়ে পম্পাকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
পরে তিনি জানতে পারেন চুঁচুড়া মহিলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে বিজেপি নেত্রীর গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে বুধবার সকালে চুঁচুড়া মহিলা থানায় হাজির হন বিজেপি নেতৃত্ব। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার জানিয়েছেন, সেদিন অনেকেই বিক্ষোভে ছিল। তাহলে পম্পাকে কেনও গ্রেপ্তার করা হল। তিনি আইনি লড়াই লড়বেন। বিজেপির দাবি, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছিল। অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা, বেআইনি জমায়েত, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।