প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর আবহের মধ্যেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল ভিন রাজ্যের এক ছাত্রী মৃতদেহ। ঘটনায় ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। বিশ্বভারতীর আম্রপালি হস্টেলে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্রী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম অনামিকা সিংহ। বারাণসীর বাসিন্দা তিনি। বিশ্বভারতীর শিল্প সদনে পড়াশোনা করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ আম্রপালি গার্লস হস্টেলে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই ছাত্রী। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীকে উদ্ধারের পর প্রথমে তাঁকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন| প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও, এর পিছনে কোনও রহস্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সে বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ। ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে পুরো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা হতবাক ও মর্মাহত। শিক্ষার্থী এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে নারাজ তারা। ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ ইতিমধ্যেই আবাসিকদের পাশাপাশি তার সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তাদের বক্তব্য বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা এবিষয়ে মন্তব্য করবেন। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে হস্টেলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অন্যান্য আবাসিকরা। এদিকে, এই ঘৃনা প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে কোনও রকমের গুজব না ছড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।