প্রসেনজিৎ ধর :- আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কাজে যোগ দেওয়ার সময়ও বেঁধে দিয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্পষ্টতই দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিল, ”আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। আমরা দুদিন দিচ্ছি আপনাদের। তার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে জুনিয়ররা কাজ করবেন না সেটা বলতে পারেন না।”এখানেই শেষ নয়, প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আমরা বলছি যদি এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেন অবিলম্বে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সরকার। কিন্তু তাঁরা এর পরেও কাজে যোগ না দিলে আমরা সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে আটকাতে পারি না।”
এই পরিস্থিতিতে আর জি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শীর্ষ আদালতের শুনানিতে তাঁরা হতাশ হয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তরদের মতে এক তরফা বিচার হয়েছে। যেখানে এখনও দোষীরা ধরা পরেনি, সেখানে তাঁরা কীভাবে আবার কাজে ফিরবেন সেটা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁরা। প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের উপর যদি ফের আক্রমণ হয়, তার দায় কে নেবে? তাঁদের নিরপত্তা কোথায়?গত ৯ অগস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। আরজি করের সামনে চলছে অবস্থানও। রাজ্য সরকারের তরফে বার বার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালেও জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফেরেননি। সোমবারের শুনানিতে সেই প্রসঙ্গ উঠলে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না, আমরা তো বলেছি। আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এরপরেও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।’’ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে এ-ও জানায়, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা জেনে, তবেই পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে।