দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের পদত্যাগ-সহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পলকে সেখানে দেখেই রে রে উঠলেন তাঁরা। উঠল, গো ব্যাক স্লোগানও।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দিতে, বা তাঁদের আন্দোলনে রাজনৈতিক রং লাগাতে আসেননি তিনি। এসেছেন দলীয় কাজ সারতে। কিন্তু, জুনিয়র চিকিৎসকরা সেটা না বুঝেই তাঁকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলেছেন! বুধবার বিধাননগরের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে ধারেকাছে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুরু করতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। ছ’দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন আর জি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা| তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতির কারবারিদের কোনও স্থান নেই। যে কারণে এর আগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও আর জি করে গিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে। তাঁকে দেখেই চিৎকার করে সমস্বরে ‘গো ব্যাক’ বলতে শোনা যায় অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের। যার জেরে দ্রুত পায়ে অবস্থানস্থল থেকে অন্যত্র চলে যান বিজেপি নেত্রী। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্রা জানান, তাঁকে ভুল বোঝা হচ্ছে। এই আন্দোলনের প্রতি তাঁর এবং তাঁর দলের পূর্ণ সমর্থন থাকলেও তাঁরা এই আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রং লাগাতে বা সরাসরি আন্দোলনে সামিল হতে চান না।সকলকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সুরে অগ্নিমিত্রা বলেন, তিনি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট স্থানে তাঁর একটি পূর্ব নির্ধারিত সাংবাদিক বৈঠক ছিল। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই তিনি এসেছিলেন। কিন্তু, জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলায় দু’দিকের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই, একপ্রকার বাধ্য হয়েই আন্দোলনকারীদের মাঝ দিয়ে নিজের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।