প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে রোগীমৃত্যু অব্যাহত জেলায় জেলায়। এদিকে, রোগীমৃত্যুর পরিসংখ্যান বাড়তে দেখে স্বাস্থ্যভবন পদক্ষেপ নিল। কোন কোন জুনিয়র ডাক্তার ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন, দুপুরের মধ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে সেই রিপোর্ট চাইল স্বাস্থ্যভবন।বুধবার সন্ধেয় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বারবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। যে নির্দেশে পরিষ্কার বলা ছিল, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। সোমবার বালুরঘাটের বড় রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বছর নয়ের নাবালক শিবম শর্মা পরিবারের সঙ্গে জল ঢালতে রওনা হয়েছিলেন পতিরাম ধামের দিকে। ভোর পাঁচটা নাগাদ রাস্তায় অদূরে একটি টোটো ধাক্কা মারে কয়েকজনকে। তার মধ্যেই ছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিবম ও তার পরিবার। গুরুতর আহত অবস্থায় শিবমকে দ্রুত বালুরঘাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘন্টা দুয়েক মধ্যে নাবালকের মৃত্যু হয়। এরপর জেলা হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।এবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে সেই ঘটনা তুলে ধরল তৃণমূল। মৃতের পরিবারের সদস্যের বক্তব্য তুলে ধরে তাদের প্রতিক্রিয়া, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির মূল্য চোকাতে হচ্ছে গরিব মানুষকে। বালুরঘাটে আরও একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের উপলব্ধি করা উচিত তাঁদের কর্মকাণ্ডের প্রভাব কতটা পড়ছে। তাঁদেরই সমাজের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এরপর এদিন স্বাস্থ্যভবনের তরফে প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে, কজন জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দিলেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal