দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শনিবার বৃষ্টিভেজা সকালে আচমকাই সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনর পর ধরনাস্থল থেকে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি ওঠে। বারবার তাঁদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নয়, বড় দিদির মতো এসেছি।”এখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নিরাপত্তাজনিত নানা নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্ত্বেও আমি নিজে ছুটে এসেছি। আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। আমি আপনাদের ব্যথা বুঝি। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। যদি সত্যি কেউ দোষী হয় তাহলে শাস্তি পাবে। দোষীরা কেউ আমার বন্ধু নয়। আপনারা যাঁরা ভাবছেন কেউ আমার বন্ধু আমি তাঁদের চিনিই না। আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করতে এসেছি। যদি বলতে দেন খুশি হব’। কিন্তু এর পরেও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঠিক করতে সময় লাগে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, “শান্ত হন। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। আপনাদের মাইকটা কি ঠিক করা যাবে? আমি যখন এসেছি তখন আমি কাজ করব”।কোলাহল কিছুটা কমতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাকে পাঁচ মিনিট বলতে দিন। আমার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, আমি আমি আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি। আমি আপনাদের আন্দোলনকে কুর্ণিশ জানাই।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাল সারারাত ঝড়জল হয়েছে, তাতে আপনাদের যেমন কষ্ট হয়েছে, আমারও কষ্ট হয়েছে। আমি ঘুমোতে পারিনি। আজ তেত্রিশ, চৌত্রিশ দিন হয়ে গেল। আমারও ঘুম হয়নি। কারণ, আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন, আমাকেও জেগে থাকতে হয়। এত দুর্যোগের মধ্যে আপনারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আমি কথা দিচ্ছি, যদি আপনারা কাজে ফিরতে চান, আমি আমার অফিসারদের সঙ্গে তা নিয়ে কথা বলব। আমি একা সরকার চালাই না। মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব রয়েছেন। কারও দোষ থাকলে ব্যবস্থা নেব।