প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর কাণ্ডের আবহে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করলেন। পাশাপাশি রাজ্যের সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ারও ঘোষণা করলেন।এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন সর্বসমক্ষে। এদিন মমতা বলেন, “আমি সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতিতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব। সেই সমিতিতে থাকবে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ। আরজি কর সহ সব কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম।” সকলের প্রতিনিধি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠনের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে, তাঁর উপর ভরসা করতে বললেন। স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদ, এতদিন পর্যন্ত রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকতেন। এই নিয়ে অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। সেই সমস্ত সমিতিই ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকেও এই রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিটি হাসপাতালের ক্ষেত্রে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অধ্যক্ষকেই রাখা হোক। এমনিতে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বসেন স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদ। আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এবার সেই রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন।