প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা:- ‘‘সঞ্জীব যদি অর্জুন হন, কলতান তবে কৃষ্ণের ভূমিকা পালন করেছেন!’’ কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানালেন রাজ্যের আইনজীবী। অন্যদিকে মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।উল্লেখ্য, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে আক্রমণের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে যে অডিয়ো সামনে এসেছে, সেই ঘটনায় কলতান এবং সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, অডিয়োয় যে দু’জনের কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তা তাঁদেরই বলে স্বীকার করে নিয়েছেন কলতান এবং সঞ্জীব। গত পাঁচ মাসে একে অপরকে ১৭১ বার ফোন করেছেন তাঁরা। ফলে তাঁরা একে অপরকে চেনেন। বৃহস্পতিবার শুনানিতে কলতানের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি তো কোনও হামলার নির্দেশ দেননি। একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে হামলার কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, নির্দেশ মতো কাজ করতে। কিন্তু কোনও নির্দেশ তো দেওয়া হয়নি!’’ তখনই রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘সঞ্জীব অর্জুনের ভূমিকা পালন করেছেন। উনি বিভ্রান্ত ছিলেন, কী করবেন বুঝতে পারেননি। তখনই কৃষ্ণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন কলতান!’’ তাঁর আরও যুক্তি, ‘‘গত ১০ মাসে দু’জনের ১৭১ বার ফোনে কথা হয়েছে। অচেনা দুই ব্যক্তির মধ্যে ফোনে এত বার কথা হওয়া অসম্ভব! অর্থাৎ, দু’জন একে অপরকে যথেষ্ট ভাল করেই চিনতেন। উভয়েই পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন যে অডিয়োয় তাঁদেরই গলা শোনা যাচ্ছে।’’ এরপরেই বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘‘অডিয়োতে সত্যিই আমার মক্কেলের গলা শোনা যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।’’দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, ‘‘পেন ড্রাইভটি যেভাবে পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। সেটি যাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না কেন?’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘আন্দোলনরত চিকিৎসকদের রক্ষা করা সবার কর্তব্য। ফলে গোটাটাই তদন্ত করা হোক।’’ বিচারপতি ভরদ্বাজের প্রশ্ন, ‘‘যদি হামলার ছক কষা হয়েই থাকে, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ করল না? ১৮-১৯ বছরের ছেলেমেয়েদের তুলে আনা হচ্ছে। ওদেরও ভবিষ্যৎ রয়েছে!’’