Breaking News

কন্যাশ্রী-রূপশ্রীকে ইউনিসেফের বাহবা!সামাজিক উন্নয়নে চালিকা শক্তি- বার্তা দিয়ে দরাজ সার্টিফিকেট

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রকল্পের প্রশংসা উঠে এল। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’র প্রশংসায় মুখর হল ইউনিসেফ। UNICEF-র অফিসার মঞ্জুর হোসেন এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই দুটি প্রকল্পের প্রশংসা করেন।প্রান্তিক অংশের মানুষের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করতে জনকল্যাণমূলক একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর্থিক উন্নতির পাশাপাশি এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামাজিক ক্ষেত্রেও। একথা উল্লেখ করে কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করল ইউনিসেফ। বিগত কয়েক বছরে এই দু’টি প্রকল্প সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। শুক্রবার সিআইআই ইস্টার্ন রিজিয়ন আয়োজিত ‘ইম্প্যাক্ট ইস্ট’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই দুই প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত ইউনিসেফের ‘চিফ অব ফিল্ড অফিস’ মঞ্জুর হোসেন। তাঁর কথায়, ‘কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলার সমাজ ব্যবস্থায়। এই দুই প্রকল্পের সৌজন্যে স্কুলছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমেছে।’ ২০১৭ সালে কন্যাশ্রীকে শ্রেষ্ঠ প্রকল্পের তকমা দেয় ইউনাইটেড নেশনস। নেদারল্যান্ডসে গিয়ে সেই পুরস্কার নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রূপশ্রীর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থার স্বীকৃতি এই প্রথম। তাই এই সম্মান রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত করল। আর জি কর-কাণ্ড পরবর্তী সময়ে এ রাজ্যে মহিলাদের কাজের স্বাধীনতা ও সার্বিক অবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে রাজ্যের সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ইউনিসেফের মতো সংস্থার প্রশংসা ও স্বীকৃতি সমালোচকদের জন্যও জরুরি বার্তা বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *