দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পুজোর আগে কলকাতা পুরসভায় শেষ অধিবেশনে তৃণমূল কাউন্সিলররা নিজের এলাকা নিয়ে যতটা সরব ততোটাই নিশ্চুপ বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। যা দেখে হতাশ চেয়ারপার্সন মালা রায়। তাঁর কথায়, “দীর্ঘদিন আমরাও বিরোধীদের আসনে ছিলাম। আমরা কিন্তু তৎকালীন মেয়রকে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন করতাম। এত প্রশ্ন করতাম, যে বলা হতো প্রশ্ন কমান। আর নেওয়া যাবে না। এখন দেখছি উল্টো।” সব প্রশ্ন ট্রেজারি বেঞ্চে। বিরোধীদের কোনও প্রশ্ন নেই।চেয়ারপার্সন মালার ক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলের কাউন্সিলররাও। এ বারের পুর অধিবেশনে কোনও বিরোধী কাউন্সিলর প্রশ্ন বা প্রস্তাব জমা দেননি বলেই সূত্রের খবর। যে সকল প্রস্তাব বা প্রশ্ন জমা পড়েছিল, তা শাসকদলের কাউন্সিলরদেরই। বিরোধী দলের কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মালা বলেন, ‘‘আমরা যখন বিরোধী আসনে ছিলাম, তখন এত প্রশ্ন জমা দিতাম, শেষে পুরসভা বলত আর প্রশ্ন জমা দেবেন না। কিন্তু এখন আর বিরোধীদের তরফে সে ভাবে প্রশ্ন জমা পড়ে না। শাসকদলের কাউন্সিলরদের প্রশ্ন ও প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করেই পুর অধিবেশন চালাতে হয়।’’জবাবে বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝার অভিযোগ, ‘‘আমরা যে সব প্রশ্ন ও প্রস্তাবের উল্লেখ করি, সেই সব বিষয় নিয়ে শাসকদল পরিচালিত পুরসভা কাজ করে না। তাই প্রশ্ন করা বন্ধ করে দিয়েছি।’’ মালার পাল্টা জবাব, ‘‘আপনি দীর্ঘ দিন ধরে নিজের ওয়ার্ড থেকে জিতে আসছেন। আপনাদেরই দলের আরও একজন কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিত ১৯৯৫ সাল থেকে কাউন্সিলর হিসেবে জয় পেয়ে আসছেন। পুরসভা আপনাদের কথা শুনে কাজ না করলে আপনারাও জিততে পারতেন না।’’ তৃণমূলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, আগামী দিনে সঠিক পদ্ধতিতে প্রশ্ন জমা দেওয়া নিয়ে তিনি দলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলবেন।