নিজস্ব সংবাদদাতা ,কলকাতা :- আবারও পূর্ণ কর্মবিরতির পথে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলন আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এবার মহালয়ার আগের দিনই পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের | তবে দুর্গাপুজোর সময় আন্দোলনের রূপরেখা কী হতে চলেছে তা নিয়ে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ১০ দফা দাবিতে পুরোদমে কর্মবিরতিতে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিরাপত্তার দাবিতে চিকিৎসকদের এহেন সিদ্ধান্তে কার্যত অচল হয়ে গেল রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ফলস্বরূপ, চিকিৎসা করাতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হলেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য ও কেন্দ্রের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, ‘আমাদের শুধুই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র কিছু কাজ হলেও, নির্যাতিতার বিচারের কোনও দিশা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’ময়নাতদন্তের বিষয়ে ডাক্তারদের অবস্থান স্পষ্ট করে এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ডাক্তার পড়ুয়া কিঞ্জল নন্দের অভিযোগ, ‘ময়নাতদন্তের বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’ ময়নাতদন্তের নথিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সই ছিল, একথা স্বীকার করে কিঞ্জল বলেন, ময়নাতদন্তে অসহযোগিতার দায় কোনওভাবেই জুনিয়র ডাক্তারদের নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের একটি পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল। যেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি শহর ও শহরতলির সাধারণ নাগরিকদের পা মেলাতে দেখা যেতে পারে। যেমন দেখা গিয়েছিল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পূর্ব কর্মসূচিগুলিতে। মিছিল শেষে ধর্মতলায় একটি সভাও করার কথা রয়েছে তাঁদের। কিন্তু এর পরের দিনগুলিতে কোন পথে এগোবে প্রতিবাদ কর্মসূচি, তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো বলেন,“২ অক্টোবর আমাদের মিছিল রয়েছে। এই পর্যন্ত কর্মসূচি স্থির রয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে কী হবে বা কী হবে না, সে বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”