নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা :- টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারিহাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা।ঘটনাস্থলে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূল সাংসদকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। পাল্টা, বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ।নিহত নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবিতে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে ধর্না দেন অগ্নিমিত্রা ৷ এর মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছন সিপিএমের প্রবীণ নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা ৷ অন্যদিকে, মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান হাসপাতালে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ৷হাসপাতালের সামনে বচসায় জড়ান তৃণমূল সাংসদ ও বিজেপি নেত্রী ৷ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কার্যত আঙুল উঁচিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন অগ্নিমিত্রা ৷ তাঁকে হাত জোড় করে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রতিমা ৷ কিন্তু অগ্নিমিত্রা বলতেই থাকেন, “আপনি এখানকার সাংসদ ৷ আপনি অভিভাবক ৷ আপনাকে জবাব দিতেই হবে ৷”অন্যদিকে ঘটনাস্থলে মীনাক্ষীর পাশাপাশি এসেছেন প্রবীণ সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ দলদাসের কাজ করছে। দলদাস বললেও কম বলা হবে। ঘটনার পর বাড়ি-ঘড় ভাংচুর হচ্ছে দেখেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, মর্মান্তিক, বীভৎস। আমি ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। ময়নাতদন্ত হলে তা যেন ভিডিও রেকর্ড করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকুক এটাই চাই।’
এদিন সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু হয়। জয়নগরের মহিষমারিহাট পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। হামলার মুখে পড়ে জখম হন পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। খবর পেয়ে এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় এলাকায়। পুলিশের তরফে পাল্টা লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়।