দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এখনও অবধি এই কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা তিন। সঞ্জয় রায়ের পর গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে |এই আবহে শিয়ালদহ আদালতে লিখিত আকারে সিবিআই জানিয়ে দিল, সঞ্জয় রায়কে এই ঘটনায় কেউ প্ররোচনা দিয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া কেউ সঞ্জয়কে আশ্রয় দিয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ধৃত এই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কেউ আশ্রয় দিয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধারের দিন কেন আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল সেই বিষয়টাও তদন্ত করে এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, সিবিআই আধকারিকদের অনুমান সঞ্জয়ের ঘাড়ে খুনের দায় চাপানোর জন্যই তাঁকে সেই রাতে চারতলার সেমিনার রুমে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে হত্যা করে সেটার থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই তাঁর ধর্ষণের পরিকল্পনা করা হয় বলে দাবি করা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। এদিকে গতকাল আদালতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী এবং অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীরা দাবি করেন, শুধু প্রভাব খাটানোর কথা বলে জামিন আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা তো জামিনযোগ্য। এদিকে অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলিও জামিনযোগ্য। সেক্ষেত্রে তাঁকে অযথা আটকে রাখা হয়েছে।