দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতিরা। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পার্থের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। ওই বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আপাতত রায়দান স্থগিত থাকবে।পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, সুবিরেশ ভট্টাচার্য এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। ২০২২ সাল থেকে গ্রেফতার রয়েছেন পার্থ-সহ বাকিরা। সিবিআই তদন্ত করছে বলে ট্রায়ালও শুরু হয়নি। তাই অন্তত ট্রায়াল যাতে শুরু হয় সেই আবেদন করেন মামলাকারীদের আইনজীবী। প্রশ্ন তোলেন, কেন ট্রায়াল বন্ধ রয়েছে সেই নিয়েও। সিবিআই-এর বক্তব্য, এই মামলাগুলিতে ১৩৭ জন সাক্ষী রয়েছেন। তদন্ত এখনও চলছে। এরপরই বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন।হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, পুজোর আগে পার্থের জামিন মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাছাড়া, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থের বিরুদ্ধে ইডির মামলায় জামিনের আর্জিটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। শীর্ষ আদালতে সেই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৭ অক্টোবর। অর্থাৎ, পুজোর পরে। ফলে পুজোর আগে যে পার্থের জেলমুক্তি হচ্ছে না, তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই নিয়ে টানা তিন বছর দুর্গাপুজোয় জেলে থাকছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির জন্য ২০২২ সালে পার্থ গ্রেফতার হন। এর আগে নাকতলার বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছিল। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে ওই সময়েই তল্লাশি চালায় ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার পাশাপাশি প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়। পরে অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকে টাকা পাওয়া যায়। মোট টাকার সংখ্যাটা ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলাতেও পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই মামলায় জামিন চেয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।