নিজস্ব সংবাদদাতা :- কৃষ্ণনগরে ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্ত হয় বৃহস্পতিবার। এরপরেই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎকদের দাবি, তাঁরা দেহের ক্ষত পরীক্ষা করেছেন। সেখানে থেকে তাঁদের অনুমান ছাত্রীর দেহে আগুন মৃত্যুর আগেই ধরানো হয়েছিল। তবে ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তাঁরা খারিজ করে দিয়েছেন। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগরের ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘আমাদের আরও কিছু কাজ বাকি আছে। সব কাজ মিটলে তদন্তকারী আধিকারিককে আমরা জানিয়ে দেব। অ্যাসিডে পোড়ানোর কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। যা পেয়েছি, তা ‘অ্যান্টিমর্টেম বার্ন’ (অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় পোড়ানো)।’’পরিবারের অভিযোগ ছিল, তরুণীর ধর্ষণের পরে খুন করা হয়। তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক বলেন, ‘কিছু পরীক্ষা এখনও বাকি আছে। তা না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছি না।’ অন্যদিকে, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানান, ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি আছে। সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে এলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তরুণীর দেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়।ইতিমধ্যেই তরুণী হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। এই তদন্তে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কৃষ্ণনগর আদালত।আদালতে যাওয়ার মুখে অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তিনি দাবি করেন, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেনই না। অভিযুক্তের মা-ও দাবি করেছেন, তাঁর পুত্র নির্দোষ। তরুণীর ময়নাতদন্ত শেষে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘নির্যাতিতার পরিবারের দাবি অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয়েছে। জেএনএম হাসপাতালে এক জন সিনিয়র অটোপসি সার্জেন উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুক্রবারই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা আসবেন। আশা করছি, তাঁরা আসার দু’দিনের মধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে যাব। তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে পুলিশ সাহায্য করবে। অভিযুক্তকে সাত দিনের হেফাজতে পেয়েছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’