প্রসেনজিৎ ধর :- আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। তারই মাঝে ফের সরকারি হাসপাতালে এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রোগী পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই রোগীর। মৃত যুবকের নাম আদিত্য মহন্ত। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে তিনি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতের পরিজনেরা। যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আদিত্য মহন্ত। যুবক দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। পুজোয় বাড়িতে এসেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। গভীর রাতে মারা যান যুবক। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক সময়ে না আসায় ও ঠিক মতো পরিষেবা না পাওয়ায় আদিত্যর মৃত্যু হয়েছে| পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার সঠিক চিকিৎসা হয়নি। আর সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। রাতে ওই ঘটনার পরেই হাসপাতাল চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম থেকেই চিকিৎসকরা আদিত্যর শারীরিক অবস্থাকে গুরুত্ব দেননি। কোনও জরুরি পদক্ষেপ না করে অবহেলা করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তার অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়লেও হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেভাবে তৎপর হননি। পরিবারের লোকেরা বারবার ডাকাডাকির পরেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা না মেলায় রাতেই মৃত্যু হয় আদিত্যর। এই ঘটনার পরেই পরিবারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন| মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই আদিত্যর মৃত্যু হয়েছে।তার পরেই হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যুবকের আত্মীয়রা। পরে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।