প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এসএসসি দুর্নীতির মামলায় প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে এই মামলার আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে ইডি। বর্তমানে প্রসন্ন জেল হেফাজতে রয়েছেন। এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নের ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি |ইডি সূত্রের দাবি, সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন এই প্রসন্ন রায়। তার সঙ্গে শিক্ষা দফতরের একেবারে শীর্ষস্তরের লোকজনদের যোগাযোগ ছিল। মূলত মিডলম্যান হিসেবেই কাজ করতেন প্রসন্ন। এই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী, পরিচিতদের নামে ভুয়ো কোম্পানি খুলে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছেন বলে দাবি করেছে ইডি। কয়েক বছরে ওই কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি। বাজার থেকে চাকরির নামে তোলা বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করতে নিজের এবং তার স্ত্রী ও পরিচিত, বিভিন্ন সংস্থার নাম দিয়ে ২০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছিলেন প্রসন্ন। নিয়োগ দুর্নীতির প্রচুর কালো টাকা জমা করা হতো সেই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে,এমনই অভিযোগ ইডির।এখনও অবধি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা মোট সম্পত্তির মূল্য দাঁড়াল ৫৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।প্রসঙ্গত, ইডি আগেই জানিয়েছিল প্রসন্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর এক আত্মীয়র সঙ্গে বিয়েও হয়েছে প্রসন্নর। সেই সূত্রেই প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম দালাল। তাঁর অফিস হয়ে উঠেছিল টাকা লেনদেনের এপিসেন্টার। বছর চারেক আগে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা খোলেন প্রসন্ন। সল্টলেকে সেই সংস্থার নাম আইডিয়াল কার রেন্টাল সার্ভিসেস। এই অফিসেই নিয়োগের দুর্নীতি হত বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারীদের।