নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- থ্রেট কালচারের অভিযোগ এনেছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে ‘টেরর কালচার’ চালানোর বড় অভিযোগ আনলেন আরজি করের একাংশ জুনিয়র চিকিৎসক। ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার বনাম জুনিয়র ডাক্তার। অনিকেত, দেবাশিস, কিঞ্জলদের বিরুদ্ধে এবার শ্রীশ, প্রণয়রা। শনিবার দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যখন গণ কনভেনশন চলছে, ঠিক সেই সময়ই জুনিয়র চিকিৎসকদের পালটা সংগঠনের আত্মপ্রকাশ।একই সঙ্গে বিচারের নামে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে মুুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জিও জানালেন তাঁরা। শনিবার দুপরে সাংবাদিক বৈঠকে নয়া সংগঠনের আহ্বায়ক তথা জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায় ঘটে চলেছে। আমাদের মানসিক, শারীরিক ক্ষতি হয়েছে। গত ৯ আগস্ট খুবই খারাপ ঘটনা ঘটে। কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থপরতায় কর্মবিরতির দিকে এগিয়ে যায়। আমরা বলি, আমরা প্রতিবাদ জানাব। আমরাই প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, রোগী পরিষেবাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের বয়কট করা হয়। বলা হয় আমরা নাকি থ্রেট কালচার চালাই। একটি তদন্ত কমিটি বসে। আমাদের কথা শুনল না। আমাদের কলেজে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।” আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশের দাবি, “আমরাই প্রথম নির্যাতিতা দিদির বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। তবে আমরা বলেছিলাম, কর্মবিরতি মানব না। রোগী পরিষেবা অক্ষুন্ন রেখে আমরা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তখনই আমাদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আনা হয়।”তাঁর অভিযোগ, “মূল ইস্যু থেকে সরে অনিকেত, দেবাশিসরা আন্দোলনকে বেলাইন করছে। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আমরাই থ্রেট কালচারের শিকার হয়ে গেলাম। সে কারণেই বাধ্য হয়ে আমরা নতুন সংগঠন তৈরি করে মানুষের কাছে সবটা জানাতে সামনে এলাম।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক সৌরভ বলেন, “ম্যাডাম, আপনি এক তরফের কথা শুনেছেন। আমাদের কথাও শুনুন। তাহলে বুঝতে পারবেন ডাক্তারি আন্দোলনের নামে কীভাবে অতি বাম রাজনীতি ঢুকে পড়েছে এর মধ্যে।”