দেবরীনা মণ্ডল সাহা:-ভারতের বায়ুসেনার একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান মঙ্গলবার সকালে উত্তরপ্রদেশের আগ্রার কাছে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় পাইলট নিরাপদে বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গা গ্রামের একটি খোলা মাঠে বিমানটি আগুনে পুড়ে যায়, এবং স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ একটি যন্ত্রপাতি ধারণ করছিলেন, যা বিমানটির ইজেকশন সিট বলে মনে হচ্ছিল। সোমবার দুপুরে, উত্তরপ্রদেশের আগরার কাছে এই দুর্ঘটনায় পাইলট নিজেকে ‘ইজেক্ট’ করে বিমান থেকে ছিটকে বের করতে পেরেছেন। এর ফলে তিনি প্রাণে বেঁচেছেন বলে জানা গেছে।যুদ্ধ বিমানটি খোলা মাঠে আছড়ে পড়ে, তাতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিমান বাহিনী সূত্রের খবর, পাঞ্জাবের আদমপুর থেকে উড়ে আগ্রার দিকে যাচ্ছিল বিমানটি। মহড়া চলছিল নিয়মমতো। তখনই ঘটে বিপর্যয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ইঞ্জিন। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজনের করা ভিডিওয় দেখা যায়, বিমানটি দাউদাউ করে জ্বলা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে এবং পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথমে বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন বিমান জ্বলে যাওয়ার দৃশ্য। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, বিমানটির ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা ছিল। সেই কারণেই পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসার জন্য ইজেকশন সিট ব্যবহার করেন মাঝ আকাশেই। এরপরে আছড়ে পড়ে বিমান।মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার একটি প্রধান যুদ্ধ বিমান। এটি প্রধানত গেরিলা যুদ্ধ এবং আকাশ-আকাশে লড়াইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় বায়ুসেনা ১৯৮৫ সালে মিগ-২৯ বিমানটি গ্রহণ করে এবং এটি বর্তমানে দেশের অন্যতম কার্যকরী যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য হয়। মিগ-২৯ বিমানটি উচ্চ গতি, চটপটে নিয়ন্ত্রণ এবং দারুণ আক্রমণাত্মক ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এই বিমানটি দেশের সীমানা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে, এটি বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, যা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।