প্রসেনজিৎ ধর :- টানা দু’দিন পিছিয়ে যাওয়ার পর আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে আরজি কর মামলার শুনানি। শুনানির শুরুতেই স্টেটাস রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা এদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই তাঁর জুনিয়র স্টেটাস রিপোর্ট তুলে দেন প্রধান বিচারপতির হাতে। স্টেটাস রিপোর্ট নিয়ে প্রধান বিচারপতি বিস্তারিত বলার পরেই আরজি কর মামলার শুনানি অন্য রাজ্যে সরানোর দাবি জানানো হতে স্পষ্ট সেই দাবি নাকচ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের সিজেএই ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।আর জি কর মামলার বিচার বাংলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার একটি রিপোর্ট পেশ করা হয় সর্বোচ্চ আদালতে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১১ নভেম্বর থেকে নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যেই চার্জ গঠন করেছে সিবিআই। রাজ্যের তরফে বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, রাজ্য সরকার চায় দ্রুত তদন্ত শেষ হোক। দ্রুত দোষীদের শাস্তি হোক। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি চাই না মণিপুরের মতো ঘটনা ঘটুক। বিচার শেষ হতে দিন সকলে। তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ আমরা মণিপুরের ক্ষেত্রে আমরা যা করেছিলাম, এখানে সে রকম কিছু করছি না। মামলা স্থানান্তরের এখনই কোনও প্রয়োজন নেই বলে মনে করে আদালত | আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি তাঁর আবেদনে বলেন, “ট্রায়াল অন্যত্র রাজ্যে সরানো হোক।” এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট শীর্ষ আদালতের অবস্থান জানিয়ে বলেন, “আমরা সরাচ্ছি না ট্রায়াল। সেটা জুডিশিয়াল সিস্টেমের উপর প্রশ্ন তোলা হবে।” বিচারপতি আরও বলেন, ষষ্ঠ স্টেটাস রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিএনএস অনুযায়ী, শিয়ালদহ আদালতে চার্জ ফ্রেম হয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে। পরবর্তী শুনানি ১১ তারিখ। তদন্ত চলছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা বিস্তারিত কিছু বলব না তদন্ত সম্পর্কে। পরবর্তী শুনানির দিন পরের স্টেটাস রিপোর্ট নেওয়া হবে। ৪ সপ্তাহ পর পর পরবর্তী স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।”