প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ৷ পূ্র্ব বর্ধমানের গলসি থেকে আফরোজ ওরফে গুলজার ওরফে ইকবালকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা৷ গতকাল রাতে কসবা তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তকুমার ঘোষকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়৷ যদিও বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন তৃণমূল কাউন্সিলর৷ ঘটনাস্থল থেকেই যুবরাজ সিং নামে এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে৷ ওই দুষ্কৃতীর মুখেই শোনা গিয়েছিল জনৈক ইকবালের নাম৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ইকবালই তিন জন দুষ্কৃতীকে বিহার থেকে নিয়ে আসা হয়৷শুক্রবার রাতে কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে আততায়ীরা। তবে বন্দুক জ্য়াম হয়ে যাওয়ায় বরাতজোড়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। এদিকে কাউন্সিলরের শাগরেদরা ধরে ফেলেন এক অভিযুক্তকে। তাকে জেরা করেই আরও একজনকে আটক করে পুলিশ। প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুরপিতাকে খতম করার নীল নকশা কার ছিল? কোথায় লুকিয়ে ছিল হামলাকারীরা? জানা যায়, ১০ হাজার টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলর খুনে। অগ্রিম দেওয়া হয় আড়াই হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে বিহার থেকে হাওড়া আসে যুবরাজ সিং, ইকবাল-সহ তিন সুপারি কিলার। তাদের জন্য হাওড়া স্টেশনের বাইরে অপেক্ষায় ছিল ট্যাক্সিচালক আহমেদ। সে-ই ট্যাক্সিতে তাদের নিয়ে যায় বন্দর এলাকার গোপন ডেরায়। রাতে সেখানে বসেই হয় ছক। পরিকল্পনামাফিক শনিবার সন্ধেয় হামলা চালানো হয়। এবার জালে মূলচক্রী।কী কারণে ইকবাল কাউন্সিলরকে হত্যা করার জন্য বিহার থেকে সুপারি কিলার নিয়ে এসেছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার নেপথ্যে আর কারও হাত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।এদিন কসবা শুটআউটের ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেফতার করা হয়েছে ট্যাক্সিচালক আহমেদকে। পুলিস কমিশনার বলেন, “তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। এর পিছনে যারা রয়েছে তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হবে।”