দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুনের চেষ্টা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল। তার মধ্যেই উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। পরিবার সূত্রে খবর, দু’দিন নিখোঁজ ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিৎ। শুক্রবার বাড়ি ফেরেন। শনিবার সকালে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হয় দেহ।একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
খুন না আত্মহত্যা, না কি অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের, মৃত্যুতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁদের বাড়ি। তবে সেই বাড়িতে কাজ চলায়, পাশেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন সত্যজিৎ ও তাঁর পরিবার। সেই ভাড়া বাড়ির ছাদ থেকেই শনিবার উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোন সত্যজিৎ। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। বার বার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ ছিল বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। এর পরই পরিবারের তরফে নোয়াপাড়া থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল সত্যজিতের। পুরসভায় বৈঠকও করেছেন। তার পর শুনতে পান সত্যজিৎ নিখোঁজ! শনিবার দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে যে বাড়িতে সত্যজিৎ ভাড়া থাকতেন, সেখানে যান মলয়। তাঁর কথায়, ‘‘যে বাড়িতে ভাড়া থাকে তার ছাদ থেকে ওর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর পেলাম। পরশু (বৃহস্পতিবার) একটা মিটিং ছিল। সেখানে দু’ঘণ্টা ও ছিল। কিছুই বুঝতে পারিনি। তার পর শুনলাম নিখোঁজ ছিল। আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহকর্মী। ১৯৮৪ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি ছিল। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশের তদন্তের উপর ভরসা রাখছি।’’নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার আনন্দমঠ এলাকায় বাড়ি তাঁর। স্ত্রী, সন্তান, মা, তিন ভাই সকলে এক সঙ্গে থাকতেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal