প্রসেনজিৎ ধর :- শুক্রবার গভীর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মালদহের রতুয়ায়। ভাগ্নির বিয়ের নিমন্ত্রণ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মামা-সহ তিনজনের। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরে গিয়ে ধাক্কা মারে বাইকটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ সূত্রে খবর, মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, বিশ্বজিৎ কর্মকার (২৫), ভোলা কর্মকার (২৩) এবং এনাফুল রহমান (১৮)। এদের মধ্যে বিশ্বজিৎ ও ভোলা কর্মকার সম্পর্কে শ্যালক–জামাইবাবু। আর এনাফুল ভোলার বন্ধু ছিলেন। তাঁরা বিয়ে নিমন্ত্রণ করতে এসেছিলেন। সামনে বিশ্বজিতের ভাগ্নীর বিয়ে। তাই কার্ড দিয়ে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের নিমন্ত্রণ করতে এসেছিলেন। সেখান থেকে রাতে তিনজন একটি মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু তাঁদের মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক্টরকে। তাতেই সব শেষ হয়ে গেল। বাড়ি ফেরা হল না তিনজনের।স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বজিতের বাড়ি রতুয়া থানার বিলাইমারি অঞ্চলের রামায়ণপুর গ্রামে। ভোলার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুরে এবং এনাফুল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানা এলাকার বাসিন্দা। বিশ্বজিৎ হরিশ্চন্দ্রপুরের এক পাউরুটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। স্থানীয় গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে তাঁদের হাসপাতালে পাঠায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও আসে। কিন্তু কাউকে বাঁচানো যায়নি।শুক্রবার তিনজন বাইকে ভালুকা এলাকায় বিশ্বজিতের ভাগ্নির বিয়ের কার্ড দিতে যায়। ফেরার সময় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রতুয়া থানার নাকাট্টি ব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরে ধাক্কা মারে। বাইকটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে শুরু হয়েছে তদন্ত। বিয়ের আগে দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।