দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি গত ১১ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিলেন, বেআইনিভাবে নির্মিত মন্দারমণির ১৪৪টি হোটেল এবং রিসর্ট ভেঙে দেওয়া হবে। যে ‘আতঙ্কে’ গত সপ্তাহের শেষে মন্দারমণিতে পর্যটকের মন্দা দেখা গিয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন হোটেল মালিকরা। তাঁদের কথায়, “এই হোটেল ব্যবসা থেকে আমাদের আয় হয়। এই উপার্জনেই সংসার চলে। এই ব্যবসার সঙ্গে কয়েক হাজার পবিবার যুক্ত। তাঁরা এই হোটেল চালু করার আগে প্রশাসনের সব রকম অনুমতি নিয়েছে। তাই এখন অবৈধ ঘোষণা সঠিক পদক্ষেপ নয়।”জেলা প্রশাসনের বুলডোজ়ার চালানোর সেই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার নবান্ন থেকে রুখে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দারমণির হোটেল ভাঙার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন হোটেল মালিকেরা। তাঁদের দাবি, সমস্ত রকম প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এই হোটেলগুলো চালু করা হয়েছিল। অবৈধ ঘোষণা করার পদক্ষেপ সঠিক নয় বলেই দাবি তাঁদের।জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কোনও আধিকারিক, এমনকী, মুখ্যসচিবও জানতেন না বলেই পরবর্তীতে জানা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।”