নিজস্ব সংবাদদাতা :- স্বামীকে ঘরের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে দীক্ষা দেওয়ার নামে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। ঘটনা বীরভূমের দুবরাজপুরের। ধৃত স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম উজ্জ্বল দাস। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত গুরুকে। সে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে।জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর এলাকায় বেশ পরিচিতি রয়েছে উজ্জ্বলের। শুক্রবার স্থানীয় একটি বাড়িতে এক দম্পতিকে দীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে তিনি জানান, দীক্ষা নিতে হবে একান্তে। একজন দীক্ষা নেওয়ার সময় অন্য কারও সেই ঘরে থাকা বলবে না। একথা বলে প্রথমে নির্যাতিতার স্বামীকে দীক্ষা দেন তিনি। এর পর ডাকেন স্ত্রীকে। তখন স্বামী ঘরের বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন। অভিযোগ, বন্ধ ঘরে দীক্ষা দেওয়ার নামে মহিলাকে ধর্ষণ করেন উজ্জ্বল। কিন্তু দরজা খুলতেই সব কথা স্বামীকে জানান মহিলা। এর পর দুবরাজপুর থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান মহিলার স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে ৪৮ বছর বয়সী উজ্জ্বল দাসকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারির পর ধৃত ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধৃত বলেন, ‘হ্যাঁ আমি ধর্ষণ করেছি। প্রথমে স্বামীকে দীক্ষা দিয়ে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছি। তার পর স্ত্রীকে ডেকে ধর্ষণ করেছি।’ নির্যাতিতাতে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃতের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।ধৃত দীক্ষাগুরু উজ্জ্বল দাসকে শনিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।