Breaking News

গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ,রাতভর নিখোঁজ কিশোরের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য লালগোলায়!

প্রসেনজিৎ ধর :- মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এক নাবালকের রহস্যমৃত্যু। বুধবার সকালে স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে দেহ উদ্ধার হয়। মৃত নাবালকের নাম সুরজিৎ দাস (১১)। মৃত নাবালকের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের লোকজনের। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে লালগোলা থানার পুলিশ।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরে নাম সুরজিৎ দাস। বয়স ১১ বছর। সাগিয়া জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও স্কুল থেকে ফিরে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে যায় সে। সন্ধ্যায় ভাই ফিরে আসলেও সুরজিৎ বাড়ি ফেরেনি। সে বাবা-মাকে জানায়, দাদা জঙ্গলের দিকে গিয়েছিল। অন্ধকার নেমে এলেও সুরজিৎ ফিরে না আসায় বাবা বিশ্বজিৎ দাস ও মা সাবিত্রী উদ্বিগ্ন হয়ে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্থানীয়দের ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করলে কেউ কিছু বলতে পারেননি। বাড়ির পাশের পুকুরেও খোঁজা হয় সুরজিৎকে। কিন্তু রাত পর্যন্ত কোনও হদিশ না মেলায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার| বিকেলের দিকে দুই ভাই মিলে খেলতে যায় সুরজিৎ। মঙ্গলবার বিকেলে ভাই না থাকায় সে একাই খেলতে গিয়েছিল সে। তার পরে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘক্ষণ খোঁজ করেও পায়নি সুরজিতকে। বুধবার সকালে স্থানীয় একটি পুকুরের ধারের জঙ্গল থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। কিশোরের মা বলেন, ‘কাল সন্ধ্যা থেকেই আমরা অনেক খোঁজ করেছি। কিন্তু সারারাত খুঁজে পায়নি। আজ সকালে জঙ্গলের ভিতর ওর দেহ পাওয়া যায়। ওর গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কেউ ওকে মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে।’ কিশোরের বাবা বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘ওর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ রয়েছে। কেউ ওকে মেরে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু, কারা এমন কাজ করেছে বলতে পারছি না।’ ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *