দেবরীনা মণ্ডল সাহা:- শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুসারে, প্রধানত উৎপাদন খাতের দুর্বল প্রদর্শনের কারণে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি চলতি অর্থবর্ষে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৫.৪ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। যা গত ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। যা এক বছর আগেও ৮.১ শতাংশ ছিল। এই বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে চিনের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৬ শতাংশ। কারণে ভারত সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসাবে রয়ে গেছে।শিল্প উৎপাদন ও খনন খাতে দুর্বল বৃদ্ধি এবং শহুরে মানুষের ব্যয়ের মন্থরতা এই মন্দার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও)। গত বছরের একই সময়ে এই হার ছিল ৮.১ শতাংশ, এবং চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ছিল ৬.৭ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা অনুমান করেছিলেন যে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে থাকতে পারে, তবে বাস্তবে তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কমে এসেছে |এর আগে অতিমারি-পরবর্তী পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বেড়েছিল ৮ শতাংশের বেশি। শেষটিতে ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি। তার পরেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ গত এপ্রিল-মে-জুনে বৃদ্ধির হার নেমে আসে ৬.৭ শতাংশে। এ বার তা আরও নিম্নগামী হল।
তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চিনের জিডিপি বৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ হওয়ায় ভারতই রয়ে গেল আন্তর্জাতিক লেখচিত্রে পয়লা নম্বরে। যদিও ভারতের তুলনায় চিনের অর্থনীতির কলেবর অনেক বড়। ফলে বৃদ্ধির হারের শতাংশের হিসাবে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন সম্ভব নয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal