প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর হাসপাতালের মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার সিবিআই যে আর্জি জানিয়েছিল তাতেই সাড়া দিয়েছেন বিচারক। আগামী ৯ ডিসেম্বর তাঁদের আদালতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আদালতে জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সিবিআই আইনজীবীর মন্তব্য, এক পুলিশ কমিশনারের কাছে পৌঁছোনো যাচ্ছিল না একটি তদন্ত চলার সময়। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী কোর্টের উদ্দেশে জামিনের আবেদন করে বলেন, তদন্তকারীরা বারবার তথ্য-প্রমান নষ্ট করা হয়েছে বললেও কী তথ্য নষ্ট করা হয়েছে তা জানাচ্ছেন না। সিএফএসএল থেকে রিপোর্ট এসেছে বলা হলেও আদালতে এটা জানানো হচ্ছে না যে সেই রিপোর্টে কী কোনও তথ্য প্রমান নষ্টের কথা বলা হয়েছে? কোথায়, কখন, কী এক্সট্রাশস করা হয়েছে তা পরিস্কার করে বলা হচ্ছে না। ডিভিআর থেকে তথ্য মুছে ফেললে তো তা আবার উদ্ধারও করা যায়। সিবিআই আইনজীবী জানান, পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। এখন জামিন দেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই। অপরদিকে, অভিজিতের আইনজীবী কোর্টকে বলেন, সিবিআই বলছে অভিজিৎ পালাতে পারেন, কিন্তু উনি সরকারী কর্মচারী। পালাবার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে সিবিআই আইনজীবী বলেন, সরকারী কর্মচারী যে পালাতে পারেন না এমন কথা কে দিয়েছে? কদিন আগেই হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট পাঁচ জনের নাম ছিল তাতে। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সূত্র ধরেই সামনে আসে হাসপাতালের দুর্নীতি। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনারও তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুধু তাই নয় সিবিআইয়ের আরও দাবি ছিল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মোবাইল, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ওই যন্ত্রগুলিতে থাকা নথি থেকে তদন্তে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।