প্রসেনজিৎ ধর :- প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলল ভারত বাংলাদেশ বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক। ঢাকায় ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বৈঠক সারলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বৈদেশিক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হুসেনের সঙ্গে। দুইপক্ষের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন ভারতের বিদেশসচিব।এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিস্রি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। বৈঠক শেষে বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী প্রথম রাষ্ট্রনেতা যিনি মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।এর পর দু’জনের ফোনে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথোপকথন হয়। দুই দেশের বিদেশসচিব এবং বিদেশ উপদেষ্টার মধ্যেও নিয়মিত যোগাযোগ আছে। মোদীর আমন্ত্রণে গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনে ইউনূস যোগ দিয়েছিলেন।’ বাংলাদেশের সঙ্গে বরাবর ভারত সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছে বলেও জানান ভারতের এই কূটনীতিক। ‘জনমুখী’ উদ্যোগ দুই দেশের সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যতম চালিকা শক্তি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারত কাজ করতে চায় বলে জানান তিনি। তবে বিক্রম মিস্রির সংযোজন, ‘আমরা সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়েও আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে এই বৈঠকে। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পত্তির উপর হামলার মতো দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ’
শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে বাংলাদেশে যে একাধিক ‘বদল’ হয়েছে, সে কথা জানান মিস্রি। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ভারতের মনোভাব ব্যক্ত করে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেওয়ার পর প্রথম যে রাষ্ট্রপ্রধানেরা অভিনন্দন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের মধ্যে অন্যতম।