Breaking News

বাংলায় ১০০ দিনের কাজ কেন বন্ধ?কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব করে সময়সীমা বাঁধল কলকাতা হাইকোর্ট

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে বাংলার বকেয়া অর্থ মিলবে কবে? দুর্নীতি মামলায় এবার কেন্দ্রেরই রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ছিল।আগামী ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যেই কেন্দ্রকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ উচ্চ আদালতের।ওই জনস্বার্থ মামলাতেই তিন সপ্তাহ অর্থাৎ ১৫ মে তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের কাছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার না দেওয়ায় সেই বকেয়া টাকা জবকার্ড হোল্ডারদের দিয়েছে রাজ্য সরকার। বকেয়া টাকা না দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সুর চড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী এবং সাংসদরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় এই নিয়ে সরব হয়েছেন বহুবার। এবার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধের কারণ কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।এদিনে শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করে বলেন, ”কেন্দ্রের সরকার খুব ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। তারা কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করছে না। অন্য কেউ কিছু না করলে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিন বছর হয়ে গেল, অনেক প্রকল্পে টাকাই আসেনি এরাজ্যে। প্রতি বছর নির্বাচন থাকছে। আগামী বছর নির্বাচন, তাই সব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটা কিসের রাজনীতি?” মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যর সওয়াল, ”কেন্দ্র-রাজ্য লড়াই করছে। কিন্তু ভুক্তভোগী কারা? সাধারণ মানুষ।” প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চে ১০০ দিনের কাজের মামলার শুনানি ছিল আজ, বৃহস্পতিবার। আর যে অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে তা প্রকৃত প্রাপকদের দ্রুত বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাডিশনাল সলিসিটার অশোক চক্রবর্তী কলকাতা হাইকোর্টে জানান, ১০০ দিনের প্রকল্পে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল। তার মধ্যে ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার মতো পুনরুদ্ধার হয়েছে। রাজ্যই তা উদ্ধার করেছে। তখনই এই মামলায় রাজ্য সরকারকে পার্টি হিসেবে যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই আগামী ১৫ মে তারিখের মধ্যে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে রিপোর্ট দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *