প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দৃপ্তকণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার রেসকোর্সের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বকে সম্মান জানান তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতাকেও শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিনিধিরা এসেছেন কলকাতায়। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী | ভারতীয় সেনার প্রতি তাঁর অন্তরের শ্রদ্ধা, সম্মান প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি বক্তব্যের শেষে তিনি একেবারে দৃপ্ত গলায় জানিয়ে দেন, জয় বাংলা। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয়েছে জয় বাংলা স্লোগান। তবে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও সেই জয় বাংলা স্লোগান শোনা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। মমতা বলেন, ‘আমরা সবসময় ভারতীয় সেনার জন্য গর্বিত। তারা সবসময় সাহসিকতার সঙ্গে পারফর্ম করেন। তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক দৃঢ়তা প্রচন্ড। তাঁরা আত্মত্যাগ করেন। দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেন। রাজ্যের তরফে আমি সেনাকে সম্মান জানাই। আমি সেনাকে সম্মান জানাই। আজকে আপনারা বিজয় দিবস পালন করছেন। মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্য়ে কয়েকজন উপস্থিত আছেন। আমি বাংলার রোল , ইন্ডিয়ার রোল , তাদের ভূমিকা কখনওই ভুলতে পারব না।’মমতা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছেন তা কিছুতেই ভুলতে পারব না। তবে আমি বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি না। আমাকে জানানো হয় না। এই বিষয়ে কিছু বলাটা আমার পক্ষে ঠিক হবে না। বিষয়টি ভারত সরকারের উপর ও ভারতীয় সেনার উপর নির্ভর করছে।’এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। যখন আমি ক্লাস টু-থ্রিতে পড়ি, তখন তিনি মারা যান। কিন্তু প্রতিদিন তিনি আমায় বলতেন, কীভাবে ১৯৬৫-তে ইন্দো-চিন যুদ্ধে আমাদের সেনারা কাজ করেছিলেন। তাঁদের আত্মত্যাগের কথা। একইভাবে শুনতাম ‘৭১-এ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের কথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা।”