দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি রাজ্যের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার জন্য আপাতত ‘টেন্টেড’ (অযোগ্য) তালিকায় নাম না-থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে পড়াতে পারবেন।অশিক্ষক কর্মীরা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন না।একযোগে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলে ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। তাই সুপ্রিম রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই আবেদনের শুনানিতে এদিন কিছুটা হলেও নরম হল সুপ্রিম কোর্ট। তবে দু’টি শর্ত আরোপ করেছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। এক, ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে তারা চলতি বছরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবেন। দুই, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে না পারলে কড়া ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, গত শুনানিতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ ছিল তিনমাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বৃহস্পতিবারের রায়ে সেই সময়সীমা বাড়ানো হল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে রাজ্য সরকার-পর্ষদ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর্থিক জরিমানা করা হতে পারে। আজ সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৯ মাস স্কুলে যাবেন অযোগ্য চিহ্নিত নয় এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে শিক্ষাকর্মীদের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু গ্রুপ সি- গ্রুপ- ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি বেশি হয়েছে সেই কারণে তাঁরা আপাতত যাবেন না স্কুলে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে শিক্ষাকর্মীদের।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal