Breaking News

‘‌বিদ্যুতের জোগান বাড়লে দাম কমবে’‌, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস হতে চলেছে শালবনিতে !

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এবার শালবনিতে জিন্দাল পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস হতে চলেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়। সেখানের মঞ্চ থেকে শালবনিতে দু’টি ৮০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল। শালবনিতে জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানা হয়েছে। তার পরেও বেশ কিছু পরিমাণ জমি পড়ে রয়েছে। সেখানেই জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে উঠবে। এবার সেই পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা নবান্ন থেকে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “শিল্পের নতুন গন্তব্য বাংলা। আগামী ২১ এপ্রিল দুপুর দুটোয় শালবনিতে জিন্দালদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস। যতদিন যাচ্ছে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তার ফলে চাহিদা বাড়ছে। আগে মানুষ এসি ব্যবহার করত না। এখন প্রায় সকলে করেন। ১১ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে। দেউচা পাচামি হয়ে গেলে আগামী ১০০ বছর সমস্যা থাকবে না। বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। আমরা দাম বাড়াই না। সিইএসসি দাম বাড়ায়। এটা আমাদের হাতে নেই। যত পাওয়ার প্ল্যান্ট তত দামে ভারসাম্য আসবে।” বলে রাখা ভালো, শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াট করে ২টি প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। জিন্দালরা ১৬ হাজার কোটি টাকার উপর বিনিয়োগ করেছেন।তিনি আরও বলেন, “সাগরদিঘিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। দুর্গাপুর, বক্রেশ্বরে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। সাঁওতালডিহিতেও চলছে। বাংলা জুড়ে অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে। তার ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান। আয়ও বাড়বে। এখন আর লোডশেডিং হয় না।” অন্যদিকে ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর জিন্দালদের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপরই অশান্ত হয়ে ওঠে জঙ্গলমহল। জিন্দালরা তখন ইস্পাত কারখানার পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। তারপর দেড় দশক কেটে গিয়েছে। ২০১৮ সালে জিন্দালদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‌২২ তারিখ গড়বেতায় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করবো। ওটা গোয়ালতোড়ে হচ্ছে। জার্মান সংস্থা ৮০ শতাংশ টাকা খরচ করছে। আমরা ২০ শতাংশ খরচ করছি। ২২ তারিখে ২৫টি দমকলের উদ্বোধন করব। ১৫টি দিঘায় পাঠিয়ে দেব। কাটোয়ায় ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন হবে।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *