নিজস্ব সংবাদদাতা :- বাড়িতেই রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি বাজি কারখানা। শনিবার সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৩ জন। এ দিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়াল গ্রামের সর্দারপাড়ায়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পিন্টু মণ্ডল, শুভঙ্করী সর্দার ও ভক্তি সর্দার। আইনকে বুড়ে আঙুল দেখিয়ে পিন্টু মণ্ডলের বাড়ির মধ্যেই বাজি তৈরি করা হতো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ। কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল? বাড়িতে কি সত্যিই বাজি কারখানা ছিল? এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাজি ব্যবসায়ী পিন্টু মন্ডলের বাড়িতে এদিন বিস্ফোরণ ঘটে। বাড়িতে মজুদ রাখা বাজি থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আগুনও লেগে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়ি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। বাড়ির মধ্যে ছিলেন গৃহকর্তা পিন্টু মণ্ডল, শুভঙ্করী সর্দার ও ভক্তি সর্দার। তিনজনেই আগুনে ঝলসে গিয়েছেন। তাঁদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। হাসাপাতালের সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টু মণ্ডলের শরীরে প্রায় ১০০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে|
দুপুরে সওয়া ১২টা নাগাদ গ্রামবাসীরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, বাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন লেগে যায় বাজিতে। কী ভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ|এই ঘটনা ফের একবার প্রশাসনিক নজরদারির উপর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।