প্রসেনজিৎ ধর :- মুখে চকোলেট বোমা, লেপমুড়ি দেওয়া অবস্থায় যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল বীরভূমের সিউড়িতে। বুধবার সকালে এ নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়। কী ভাবে মারা গেলেন যুবক, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশও। তবে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ।ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বীরভূমের সিউড়িতে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুপ্রিয় দাস। বয়স ৩০ বছর। সিউড়ির কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। অন্যান্যদিনের মতোই মঙ্গলবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যান সুপ্রিয়। মাঝরাতে বিকট শব্দ পান পরিবারের সদস্যরা। দোতলায় গিয়ে তাঁরা দেখেন, সুপ্রিয় লেপ গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় কাছে যেতেই তাঁরা দেখেন ভয়ংকর দৃশ্য। ছিন্নভিন্ন সুপ্রিয়র মুখ-গলা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।মৃতের ভাই বলেন, ‘‘রাতে দাদার ঘরে গিয়েছিল মা। গিয়ে দেখে দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ওর মুখ রক্তাক্ত। মায়ের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আমরা দোতলার ঘরে গিয়ে দেখি, গায়ে লেপ মুড়ি দেওয়া, গালের দিকে আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেছে।’’পুলিশ প্রথমে মনে করেছিল হেডফোন অথবা মোবাইল ফেটে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় অন্য তথ্য। যুবকের মুখে মেলে ফেটে যাওয়া চকোলেট বোমার টুকরো। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন সুপ্রিয়। যদিও কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন তা জানা যায়নি। সূত্রের খবর, যুবকের ল্যাপটপ থেকে প্রচুর অবসাদ আচ্ছন্ন লেখা মিলেছে। পাশাপাশি উঠে এসেছে আর্থিক সংকটের তথ্যও। তবে কি সেই কারণেই চরম সিদ্ধান্ত? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।