দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সেচ দফতরের সচিবকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের। নতুন করে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের।কেন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে মেদিনীপুরের বন্যা রুখতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘাটালের সাংসদ দেবকে সঙ্গে নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে তা ঘোষণা করেছিলেন। এবার তা বাস্তবায়নের সময় এসেছে। দ্রুত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি।জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী শঙ্কর দলপতি জানালেন, ‘‘১৯৫৯ থেকে ঘাটালের এই বন্যার সমস্যা। কেন্দ্র ও রাজ্যের পঞ্চাশ শতাংশ করে আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কথা। কিন্তু কেন্দ্র অর্থ দিলেও রাজ্য বিগত ৪০ বছর ধরে কিছু করছে না।’’ প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। রাজ্য এবং ক্যাগ আলাদা আলাদা রিপোর্ট এদিন আদালতে পেশ করে। রিপোর্টে অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।কীভাবে তা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সম্প্রতি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্ট দেখে স্পষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, ”এই রিপোর্টে লেখা আছে যে বন্যার পর আপনারা কটা শাড়ি, বিছানার চাদর, লুঙ্গি, শিশু খাদ্য বিতরণ করেছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা কীভাবে করেছেন, সেটা লেখা আছে। কিন্তু মাস্টার প্ল্যান কীভাবে কার্যকর হবে বা কীভাবে এই বন্যা প্রতিরোধ করা হবে, সে বিষয়ে কিছুই লেখা নেই। আগামী বর্ষার আগে কিছু তো করুন। এখনই শুরু না করলে কিছুই করতে পারবেন না।”৬ সপ্তাহের মধ্যে ফের রিপোর্ট তলব করল ডিভিশন বেঞ্চ।