দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যে স্যালাইন-কাণ্ডে পাঁচ প্রসূতির মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সীমাবদ্ধতায় কাজ করছি। রাজ্য সরকার ১৩ বছর ধরে কাজ করছে। কে বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে? দেখুন কত মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। দেখুন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা মানুষ কতটা পাচ্ছে। রাজ্য তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তদন্ত চলছে।কারও গাফিলতি পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিরোধী দলের কাউকে ফাঁসাতে হবে এমন তদন্ত নয়।’মেদিনীপুর হাসপাতালের স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। আর এই বিষয়েই এবার তীব্র ক্ষোভ জানালেন ডায়মন্ডহারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা নিয়েও বিরক্তি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবারও মেদিনীপুরের ঘটনা নিয়ে একইরকম অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে সার্বিক তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের কেউ ছাড় পাবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়। আজ, বুধবার ফলতায় সেবাশ্রয় প্রকল্পের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অভিষেক। আর সেখান থেকেই হুঙ্কার দিলেন তিনি।এই স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে এখন বিরোধীরা পথে নেমে পড়েছেন। সিপিএম–বিজেপি এবং কংগ্রেস সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছেন বলে খবর। যা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিষেককে। তার জবাবে অভিষেকের বক্তব্য, ‘এই আরজি কর নিয়ে তো কত কুৎসা, অপপ্রচার হয়েছিল। কিন্তু কী দেখা গেল? কলকাতা পুলিশ যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে সিবিআই পাঁচ মাস সময় লাগিয়ে দিল। সুতরাং বুঝতে হবে কলকাতা পুলিশ সঠিক তদন্তই করেছিল। আর সিপিএম–বিজেপি, ওদের আমলে তো বানতলা, ধানতলা, চমকাইতলা, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই পর পর ঘটেছে। বিজেপি তো অপরাধীদের আশ্রয় দেয়। লালনপালন করে। ওরা কি অভিযোগ করবে।’এই ঘটনার মৃতার পরিবারের অভিযোগ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন প্রয়োগ ও চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সেপটিক শক থেকে মাল্টিঅর্গান ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতি মামণি রুইদাসের ৷
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal