Breaking News

‘স্যালাইন কাণ্ডে মৃত্যুর দায় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের’!মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার-সহ ১২ ডাক্তার সাসপেন্ড, জানালেন মমতা!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর। সুপার-সহ জুনিয়ার এবং সিনিয়ার মিলিয়ে মোট ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল রাজ্য। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যদপ্তর এবং সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁদের গাফিলতি রয়েছে সেটি প্রমাণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রসূতির অপারেশনে দায়িত্ব পালন করেননি সিনিয়াররা। নিয়ম মেনে কাজ করলে প্রসূতির মৃত্যু এড়ানো যেত।’ সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চলবে। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা পর্যন্ত সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মৃত প্রসূতির পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য এবং সরকারি চাকরির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সঠিকভাবে চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করলে মেদিনীপুর মেডিকেলে মা এবং সদ্যোজাতকে বাঁচানো যেত। তাঁর কথায়, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পরও বাঁচানো যায়নি প্রসূতি এবং শিশুকে। পাশাপাশি এদিন স্বাস্থ্য কাঠামোয় উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘এ রাজ্যে স্বাস্থ্য কাঠামোর যে উন্নয়ন হয়েছে অন্য কোথাও হয়নি। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।’সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। এই ঘটনায় উঠে আসে স্যালাইন প্রসঙ্গ। পরে সেখানে এক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়া প্রসূতিদের একজনের সন্তানও প্রাণ হারিয়েছে। এই ঘটনায় এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, যাঁদের উপর দায়িত্ব, তাঁরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমনটা হত না। মমতার কথায়, ওটির দরজা পর্যন্ত সিসিটিভি নয় কেন। সিসিটিভি থাকলে অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরা যেত। অসুস্থ হয়ে পড়া প্রসূতিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকেই কলকাতার এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া ১২ জনের মধ্যে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আরএমও এবং এমএসভিপিও রয়েছেন।

সাসপেন্ড চিকিৎসকদের নামের তালিকা

ডা. সৌমেন দাস (আরএমও)
ডা. দিলীপ পাল (বেড ইনচার্জ)
ডা. হিমাদ্রি নায়েক (সিনিয়র ডাক্তার)
ডা. মহম্মদ আলাউদ্দিন (বিভাগীয় প্রধান)
ডা. জয়ন্তকুমার রাউত (এমএসভিপি)
ডা. পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনিয়র রেসিডেন্ট)
ডা. মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি পড়ুয়া)
ডা. ভাগ্যশ্রী (পিজিটি পড়ুয়া)
ডা. সুশান্ত মণ্ডল (পিজিটি পড়ুয়া)
ডা. পূজা সাহা (পিজিটি পড়ুয়া)
ডা. মণীশ কুমার (পিজিটি পড়ুয়া)
ডা. জাগৃতি ঘোষ (পিজিটি পড়ুয়া)

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *