দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বৃহস্পতিবার বাঘাযতীনের ঘটনাস্থলে বহুতল ভাঙার কাজ পরিদর্শনে গেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রমোটারকেই দুষলেন তিনি। এছাড়া হরিয়ানার যে সংস্থা বাড়িতে কাজ করছিল তাদেরও নিশানা করেছেন ফিরহাদ। স্পষ্ট বলেন, মাথামোটার মতো কাজ হয়েছে। হরিয়ানার ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা ভুল পদ্ধতিতে ফ্ল্যাটটি লিফটিংয়ের কাজ করছিল বলেই দাবি মেয়রের।বৃহস্পতিবার ওই বিপর্যস্ত ফ্ল্যাটটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদার এবং মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররাও ছিলেন তিনি। মেয়র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি গঙ্গাসাগরে ছিলাম। কথা হয়েছে দেবব্রত ও মিতালীর সঙ্গে। ওদের জানিয়ে এখানে আসা। এটা একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ফল্ট। পুরসভাকে না জানিয়ে প্রোমোটার পাকামি করে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ, পুরসভার অনুমতি না নিয়ে হরিয়ানার কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব করেছে। গাড়ি ওঠানোর যন্ত্র দিয়ে এসব করেছে।” ফিরহাদের দাবি, হরিয়ানার ওই সংস্থা মাটির প্রকৃতি বুঝতে পারেনি। পাথুরে মাটি ভেবে লিফটিংয়ের কাজ শুরু করে, সে কারণে বিপত্তি।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে বাঘাযতীনে হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার কাজ। দুপুর ১টা নাগাদ বাঘাযতীনে যান ফিরহাদ। ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই মেয়র জানান, ওই বহুতলের ফ্ল্যাটমালিকদের পাশে যথাসাধ্য থাকার চেষ্টা করবে পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রী চান, সাধারণ মানুষের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার জন্য হরিয়ানার সংস্থাকেও দুষেছেন ববি। তাঁর দাবি, গাড়ি তোলার যন্ত্র দিয়ে বাড়ি ‘লিফ্টিং’-এর কাজ হয়েছে। ফ্ল্যাটবাড়ি তোলার আগে মাটি পরীক্ষা করেও দেখা হয়নি।ফিরহাদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই ওই হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি ভাঙার কাজে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এক এক ধাপে এক একটা তলা ভাঙা হচ্ছে। তার আগে ভিতরের জিনিসপত্রও বার করে আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ। ওই এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal