প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষক ও খুনি সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মালদহ পৌঁছে তিনি বলেন, আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমাদের হাতে কেসটা থাকলে ফাঁসির সাজা করিয়ে দিতে পারতাম।এদিন সাজার খবর শুনে মালদহ থেকে তিনি বললেন, ”আমরা প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি করেছিলাম। এখনও তাই করছি। আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তো তিনটে মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি, ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”সোমবার থেকে জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে মুর্শিদাবাদ রওনা হওয়ার আগেই তিনি বলেছিলেন, ”আমি তো ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলাম। আমরা চাই, ফাঁসি হোক। সবাই চাই চান। তবু বিচারককে অনেক দিক খতিয়ে দেখে তবে রায় দিতে হয়। তাই সময় লাগবে।” সবদিক খতিয়ে দেখে এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, অপরাধ বিরলতম, তা বলা যাবে না। তাই আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিবিআই কী ভাবে কেসটাকে সাজিয়েছে সেটা তো আমি বলতে পারব না। নথি না দেখে এব্যাপারে মন্তব্য করা উচিত নয়।’তাৎপর্যপূর্ণ হল, কদিন আগেই জয়নগরে এক নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত। তা ছিল এক প্রকার রেকর্ড। জয়নগরের মহিষমারিতে নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার ৬২ দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়। শুধু ওই মামলা নয়, এর পর এই রাজ্যেই আরও দুটি খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় আদালত ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই তুলনায় আরজি কর কাণ্ডের রায় বহু মানুষের কাছে হতাশাজনক তো বটেই। আরজি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতার পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সরকার। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়েছিল। এদিন বিচারক জানিয়েছেন, মৃতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এদিন কিছু বলতে চাননি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal