দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আরজি কর কাণ্ডে ঐতিহাসিক রায়। তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ১৭ লক্ষ টাকা ধর্ষণের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যকে। বিচারপতি এই মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের জন্য যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পাশাপাশি সারা দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া ভয়াবহ এই খুনের ঘটনায় বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল রাষ্ট্রকে।সোমবার বেলা ২টো ৪৫-এ ২১০ নম্বর কক্ষে ঢুকে বিচারক দাস জানান, দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। জরিমানার টাকা না দিলে পাঁচ মাস অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দাস।নির্যাতিতার বাবা অবশ্য এব্যাপারে জানান, তাঁরা ক্ষতিপূরণ চান না। বিচারক তখন তাঁর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি মনে করবেন না টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে এমন বলা হলে আমিও তাই করতাম।’ গত শনিবার মামলার রায়দানের পর জানা গেছিল সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন হতে পারে। অবশেষে যাবজ্জীবনের সাজা শোনালেন শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক।এর আগে সিবিআই দাবি করেছিল, আরজি করে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনা বিরলের থেকে বিরলতম। এই আবহে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজার দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সিবিআইয়ের দাবি মেনে নিলেন না বিচারক। এদিকে সিবিআইয়ের পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীও ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন।সোমবার বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ আরজি কর মামলায় যখন সাজা ঘোষণা করছেন বিচারপতি অনির্বাণ দাস, তখন বাইরে রাস্তায় তুমুল স্লোগান উঠছে—ধর্ষকের ফাঁসি চাই। শুধু প্রতিবাদীরাই নয়, অনেকেরই ধারণা হয়েছিল ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ডই হতে চলেছে। কিন্তু রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক অনির্বাণ দাস জানালেন, সঞ্জয় রায়য়ের অপরাধ ‘বিরলতম’ নয়। তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিচ্ছে আদালত।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal