Breaking News

‘‌উনি চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন’‌!গোপন ফাইল প্রকাশ্যে না আনায় কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন মমতার

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে নেতাজী জন্মজয়ন্তী পালনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান মঞ্চে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের মাধ্যমে বক্তব্য শুরু করেন মমতা। শুরুতেই বলে দিলেন, ‘‌পাহাড়ে এবং রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নেতাজির জন্মজয়ন্তী আগে পালন করেছি। তরাই ডুয়ার্সে এই প্রথমবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এত বড় করে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হল স্মরণীয় করে রাখতে।’‌আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮–তম জন্মবার্ষিকীতে আবার তাঁর ‘অন্তর্ধান রহস্য’ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার কালচিনির সুভাষিনী চা– বাগানে সরকারি পরিষেবা প্রদান এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। এখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, নেতাজি চক্রান্তের শিকার। তিনি আরও বলেন ‘‌দেশে যখন স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল। তখন আন্দামানে সেলুলার জেলে গিয়েছিলাম। যেখানে অধিকাংশ স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঙালি এবং পাঞ্জাবি ছিলেন। আন্দামানের পাশাপাশি ডুয়ার্সের এই আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সাতে স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের রাখা হয়েছিল। আর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আমাদের শিক্ষা ও দীক্ষা দিয়েছিলেন। ভারতের প্রথম সেনাবাহিনী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি তৈরি করেছিলেন নেতাজি। ভগৎ সিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রদেশের ব্যক্তিত্ব এই স্বাধীনতার লড়াইয়ে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আক্ষেপ সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন জানি, মৃত্যুদিন জানি না। তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের যে ৬৪টি ফাইল রয়েছে তা সাধারণের দেখার জন্য রেখেছি।’‌ জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহকুমার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‌ধুপগুড়ির বিধায়ক হিসেবে নির্মল চন্দ্র রায়ের জয়ের পর ধুপগুড়িতে সাব ডিভিশন এবং সাব ডিভিশন হাসপাতালের যে দাবি ছিল তা পূরণ করা হয়েছে। কিছু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের বিষয় রয়েছে সেগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে।’‌কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‌আদিবাসীদের জমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০টি শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১২ লক্ষ মানুষকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে এই টাকা দেওয়া হবে। আমাদের কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমরা সম্মানের সঙ্গে আপোস করি না। তাই মানুষজনকে ঘর দেওয়া হবে। অনেক চা–বাগান খুলে গিয়েছে। আগামী দিনে আরও খুলবে।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *